,

ভুল চিকিৎসার মামলায় ডা. এসকে ঘোষ ও আরিফসহ ৪ জন কারাগারে

জুয়েল চৌধুরী : ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় হবিগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ ৪ জনের আগাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।
প্রসঙ্গত, শহরতলীল বহুলা গ্রামের রহিমা খাতুনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য নতুন বাস টার্মিনালের দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাবার পর কর্তৃপক্ষ বলে রহিমার অবস্থা খুবই খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। ওই দিনই ডাক্তার এস কে ঘোষ তার অপারেশন করেন। এরপর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। কয়েকদিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর রিলিজ দেয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে জরায়ূর রগ কেটে ফেলা হয়েছে তার। তাছাড়া তার দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আরেকটি রয়ে গেছে। এমনকি তার একটি কিডনিও পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর রহিমা গত ১৫ অক্টোবর বিকালের দিকে মারা যান।
এ ঘটনায় রহিমার চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে ডাক্তার এস কে ঘোষ, আরিফুল হক, সিদ্দিকী জনি ও দালাল তাবির হোসেইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে রুজু করেন। এরপর থেকেই পুলিশের তাড়া খেয়ে উল্লেখিতরা হাইকোর্টে আত্মসমপর্ণ করেন।
সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজাদ আহমে জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে সেখান থেকে ম্যাসেজ পাওয়ার পর রহস্য উদঘাটনের জন্য রিমাণ্ড আবেদন করা হতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর